Friday, May 6, 2011

নীঃসংগতায় বসবাস

মানুষ কি একা বসবাস করতে পারে? একাকী জীবন ধারণ শুধু নয়, জীবনের জয়গাণেও সামীল হতে পারে? এর উত্তর খুজা যেতে পারে সাহিত্য, বিজ্ঞান অথবা ইতিহাসের পাতায়। ... নীর্জন, মানবশূন্য দ্বীপে আটকে পরা নাবীকের কাহিনী আমাদের সবার-ই জানা। হ্যা, আমি ইংরেজী সাহিত্যের অমর চরীত্র রবীন্সন ক্রুসোর কথা বলছি, যে একাকী এক দ্বীপে কাটিয়েছিল অনেক বছর। যদিও এই কাহিনী এক সাহিত্যিকের কল্পনা প্রসূত এবং আমার জানা নেই সাহিত্যিক কোন গবেষণা বা অভিজ্ঞতা-লব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে কাহিনী সাজিয়েছিলেন কিনা, কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে এই উপন্যাসটি প্রকৃতির প্রেক্ষাপটে মানব চরীত্রের পর্যবেক্ষণে এক অনন্য মাইলফলক।

নির্বাসিত জীবনের প্রথম বছরগুলো রবীনসন ক্রুসো কাটিয়েছিল মৌলিক উপাদানের খোজে। খাদ্য, আশ্রয় এবং পরিধেয়র সংস্থান করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। এর পরের পর্যায়ে আসে সঙ্গ লাভের আকাঙ্খা। তীব্র এই চাহিদার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, নাবীক তার দৈনন্দিন অভিজ্ঞতাগুলো লিখে রাকছে সময় সম্পর্কে তার অভিজ্ঞান সঠিক রাখতে। এরও পরের পর্যায়ে দেখা যায় নাবীক নিজের সাথে কথা কথা বলছে এবং সঙ্গ লাভের তীব্র চাহিদা থেকে তার চিন্তাগুলো হয়ে গেছে সশব্দ। এ যেন মানব মনে নীহিত স্বয়ংক্রীয় রক্ষাকবচ। এখানে মূল প্রশ্ন হ্ল, রবিন্সন ক্রুসো কি অনির্দিষ্ট সময় একাকী বেচে থাকতে পারত? ফ্রাইডের সাথে যদি তার দেখা না হত, সে কি তার মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে পারত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য? (উত্তর পরবর্তি লেখাগুলোতে...)

No comments:

Post a Comment